উদয় সিনা বল পায়ে মুক্তিযুদ্ধে লড়েছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল | ছবি: সংগৃহীত একাত্তরের উত্তাল মার্চে অসংখ্য মুক্তিকামী বাঙালির মতো পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে সম্মুখযুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নওগাঁর জাকারিয়া পিন্টু। কিন্তু পরবর্তী সময়ে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে যাওয়ার পরিবর্তে একটি নবগঠিত ফুটবল দলে যোগ দেন তিনি। দলটা ‘বাংলাদেশ একাদশ’ নামে আত্মপ্রকাশ করলেও মানুষের ভালোবাসায় সবার মুখে মুখে এর নাম হয়ে যায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। ১৯৭১ সালে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদে…
হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম সিলেট রেলস্টেশনে মেজর জেনারেল কে ভি কৃষ্ণ রাওয়ের সঙ্গে জেড ফোর্স কমান্ডার জিয়াউর রহমান (বাঁ থেকে দ্বিতীয়), ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ | ছবি: সংগৃহীত ২১ নভেম্বর। প্রথমবারের মতো ৪/৫ গুর্খা ব্যাটালিয়ন এবং ১ম ইস্ট বেঙ্গল এক মাইল গ্যাপ দিয়ে সুরমা নদী অতিক্রম করে জকিগঞ্জ এলাকায় ঢোকে। আটগ্রামে পাকিস্তানিদের রক্ষণভাগে প্রচণ্ড আঘাত হানে গুর্খারা এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করেও পাকিস্তানিদের পরাভূত করে। আটগ্রামের মাইলখানেক পূর্ব দিকে সুরমা নদীর পাড়ে চারগ্রাম বাংলো এলাকায় শত্রুর প্লাটুন ঘাঁ…
আফসান চৌধুরী দিনাজপুরে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে উচ্ছ্বসিত মুক্তিযোদ্ধারা, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ | ছবি: অমিয় তরফদার ২০০১ সালে বিবিসি রেডিওর জন্য ‘বাংলাদেশ একাত্তর’ শিরোনামে আমি একটি সিরিজ করি। সেই সুবাদে ১৯৭১ সালে যৌথ বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার দিল্লির বাসভবনে তাঁর একটি সাক্ষাৎকার নিই। তাঁকে খুঁজে পেতে একটু সময় লেগেছিল। ভারতীয় সরকারি মহলে তাঁকে নিয়ে আগ্রহ ছিল না। পরে জানতে পারলাম, খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন বলে তাঁর ব্যাপারে একটু ‘দূরে থাকো’ নীতি চালু হয়। যা–ই …
আলতাফ পারভেজ ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে এসেছে বিজয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে বিজয়ের উল্লাসে সাধারণ মানুষ | ছবি: অমিয় তরফদার অপর জাতির অধীনে, উপেক্ষায়, নিপীড়নে যাঁরা থাকেন, তাঁরা জানেন স্বাধীনতা কত জরুরি। তাঁরা বোঝেন মুক্তি কত প্রয়োজন; কেন এর চেয়ে বড় চাওয়া থাকে না আত্মমর্যাদাসম্পন্ন মানুষের। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মানুষ সেটাই পেয়েছিল। এ এক হিরণ্ময় অর্জন। শোক আর অশ্রুর নদীকে ছাপিয়ে ১৬ ডিসেম্বর উদ্বেল আনন্দে ভেসেছিল চরাচর। বাংলার জনজীবনে এমন সময় আর আসেনি কখনো। শত শত বছরের ইতিহাসে এ…
সালেক খোকন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের খবর জানতে বহু মানুষ জড়ো হতো কাশেম মোল্লার চায়ের দোকানে | গ্রাফিক:পদ্মা ট্রিবিউন ১৯৭১ সাল। ঈশ্বরদীতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ক্যাম্প বসিয়েছে পাকশী পেপার মিল ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায়। খুব কাছেই রূপপুর গ্রাম। ওই গ্রামে এক কড়ইতলায় ছোট্ট একটি চায়ের দোকান বসান কাশেম মোল্লা। সবার কাছে সেটি মোল্লার দোকান নামে পরিচিতি পায়। পাকিস্তানি সেনারা নির্বিচার জ্বালিয়ে দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। উত্কণ্ঠা আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সবাই। রেডিও পাকিস্তানে কোনো সঠিক খবর নেই। যা খবর…