প্রতিনিধি গাজীপুর

গাজীপুরে মসজিদের ইমাম রহিজ উদ্দিনকে বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গাজীপুরে একাধিক শিশু-কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে পিটুনির পর গ্রেপ্তার এক ব্যক্তি কারাগারে মারা গেছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে গাজীপুর জেলা কারাগারে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যক্তির নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫)। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা। থাকতেন গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায়। তিনি স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে চাকরি করতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে শিশু-কিশোরকে ধর্ষণের অভিযোগে রহিজ উদ্দিনকে আটক করে গাছে বেঁধে পিটুনি দেন এলাকাবাসী। এর মধ্যে এক কিশোরের অভিভাবক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের সঙ্গে রহিজ উদ্দিন চলাফেরা করতেন বেশি। ছেলেদের ডেকে নিয়ে তাঁর থাকার কক্ষে কম্পিউটার ও মুঠোফোনে গেমস খেলতে দিতেন। দোকান থেকে কিনে পানীয় পান করাতেন। পানীয় পান করে শিশুরা অচেতন হয়ে গেলে তিনি ধর্ষণ করতেন। সম্প্রতি কলেজের এক ছাত্রের সঙ্গে এমন করার আগেই কৌশলে পালিয়ে অন্যদের ঘটনাটি জানায় সে। এরপর গতকাল এলাকার লোকজন রহিজ উদ্দিনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন।

নগরের পুবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, উত্তেজিত জনতা রহিজ উদ্দিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে জুতার মালা পরিয়ে পিটুনি দেন। পরে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। পুলিশ রহিজ উদ্দিনকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রাতেই গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠায়। রাত তিনটার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ আজ সোমবার সকালে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের বলেন, রহিজ উদ্দিনের শরীরে ‘পাবলিক অ্যাসল্ট’ ছিল। রাত তিনটার দিকে তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।