প্রতিনিধি পাবনা

স্থানীয়দের হাতে আটক তিন ইউপি সদস্যকে থানায় নেওয়া হচ্ছে। রোববার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখার পর তিন ইউপি সদস্যকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রোববার দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের হেফাজতে নেওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন— দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফিরোজ হোসেন বাকী , ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলাম এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দিন খান ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এই তিন ইউপি সদস্য ইউনিয়ন পরিষদে আর নিয়মিত আসতেন না। দুপুর ১২টার দিকে তারা একসঙ্গে পরিষদ কার্যালয়ে গেলে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয়দের। পরে তারা তিন সদস্যকে আটকে রাখেন এবং থানায় খবর দেন। পরে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে যায়।

ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন বাকির ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা করে। পরে আদালত থেকে তারা জামিনে মুক্ত হন। ইউনিয়ন পরিষদের কাজে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা তাদের লাঞ্চিত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।'

ঈশ্বরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, 'ইউনিয়ন পরিষদে তিন সদস্য আটকে রাখা হয়েছে, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং তাঁদের থানায় নিয়ে আসি। বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।'

থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, 'তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ আছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুলভ মালিথা বলেন, 'শেখ হাসিনার শাসনামলে এই তিন ইউপি সদস্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার কথা বলে তারা বিভিন্ন সময় টাকা আদায় করেছেন। সাধারণ মানুষকেও নানাভাবে হয়রানি করেছেন। তাঁদের পরিষদে উপস্থিতির খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।'