প্রতিনিধি বগুড়া
![]() |
হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার সামনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে অটোরিকশা রেখে চালকেরা বিক্ষোভ করেন। সোমবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন চালকেরা। আজ সোমবার দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার সামনে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন অটোরিকশাচালকেরা।
চালকেরা হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের এই অবরোধে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণ ও পশ্চিমবঙ্গে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ও চালকদের।
চালকদের অভিযোগ, বগুড়া থেকে নন্দীগ্রাম ও রনবাঘা এবং নন্দীগ্রাম থেকে নাটোরের সিংড়া পর্যন্ত মহাসড়কে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। কুন্দারহাট হাইওয়ে পুলিশ চালকপ্রতি মাসিক ভিত্তিতে ৮০০ টাকা চাঁদা তোলে। পুলিশের নিয়োগ করা লোকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা থেকে এই চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। মহাসড়কে অটোরিকশা থেকে এই চাঁদাবাজির মূল হোতা হাইওয়ে কুন্দারহাট থানার ওসি নিজেই। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না পেলেই পুলিশ প্রতিনিয়ত মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশা জব্দ, মোটরযান আইনে মামলাসহ চালকদের নানাভাবে হয়রানি করে।
তবে কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, কোনো সিএনজি থেকে হাইওয়ে পুলিশ এক টাকাও চাঁদা তোলে না। ওসির দাবি, আজ হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে চলাচলকারী দুটি সিএনজির বিরুদ্ধে মামলা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চালকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তুলে মহাসড়ক অবরোধ করেন।
ওসি স্বীকার করেন, হাইকোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করে মহাসড়কে বেপরোয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। মহাসড়কে অবাধে সিএনজিচালিত চলাচল বন্ধে হাইওয়ে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, জানতে চাইলে ওসি বলেন, তিনি এখানে যোগদানের আগেই আইন লঙ্ঘন করে মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে আসছে। আগে থেকে মহাসড়কে চলাচলকারী এসব অটোরিকশার চলাচল হঠাৎ করে ঠেকানো সম্ভব নয়। এ কারণে মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে হাইওয়ে পুলিশ বাধা না দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।