নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

দিনাজপুরের বিরলে ভবেশ চন্দ্র রায়ের রহস্যজনক মৃত্যু, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কান্তিলাল আচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করা, রাঙামাটির কাউখালীতে মারমা তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

রোববার এক বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের তিন সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, নিম চন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্র কুমার নাথ এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, সারা দেশে সাম্প্রদায়িক ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের বিরলে কৃষক ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু সম্পর্কে পুলিশ বলেছে তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবার বলছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ‘পান–বিড়ি খেয়ে অসুস্থতার’ খবর জানানো হয়। হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুকে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর সংগঠিত নিপীড়নের ধারাবাহিকতা’ বলে মন্তব্য করে। তবে ভারতের এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বাসসকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব ধর্মের নাগরিকদের সমান অধিকার নিশ্চিত করে।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা তাঁদের বিবৃতিতে বলেন, গত মার্চ মাসে সারা দেশে প্রায় অর্ধশত সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা, ধর্ষণ, মন্দিরে হামলা, ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার, আদিবাসীদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনা রয়েছে। তাঁরা বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও অস্থিরতার এসব ঘটনা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ ও শঙ্কা বাড়াচ্ছে।