প্রতিনিধি গোপালগঞ্জ
![]() |
মারধরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতাকে মারধর করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মোড়ে কাচ্চি ডাইনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত দুজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসিমউদ্দীন, একই বিভাগের শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সঙ্গে থাকা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের হোসেন।
হামলার শিকার জসিমউদ্দীন বলেন, ‘আজ বেলা চারটার দিকে গোপালগঞ্জ শহরের কাচ্চি ডাইনে খাবারের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে আমরা তিনজন যাই। কাচ্চি ডাইনের সামনে পৌঁছালে ১৫-২০ জন যুবক আমাদের ঘিরে ফেলে এবং বলে তোরা চাঁদাবাজি করিস, তোদের চাঁদাবাজি ছোটাচ্ছি। তোরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে বের হবি না, বের হলে তোদের খবর আছে। এরপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে আমরা দুজন আহত হই। আমাদের সঙ্গে থাকা অপর শিক্ষার্থী আমাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।’
জসিমউদ্দীন আরও বলেন, তাঁর বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে কয়েকজন বহিরাগত খোঁজখবর নিতে থাকে এবং তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাকে বলে, যারা আমাকে খুঁজতে এসেছিল তারা জেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাই আমি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লাকে নিয়ে আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেই। সেখানে লিখেছিলাম, “জসিম কে তোদের বাপ নিউটন মোল্লাকে জিজ্ঞেস কর।” ওই ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে হয়তো নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লোকজন হামলা ঘটাতে পারে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রশাসন হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।’
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং আহতদের তাৎক্ষণিক হাসপাতাল দেখতে গিয়েছি। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আনা হবে। ভুক্তভোগীদের থানায় এসে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।’
এ ঘটনার বিচার চেয়ে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজাহিদ শেখ বলেন, ‘সারা বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেও গোপালগঞ্জ এখনো ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়নি। তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। গোপালগঞ্জকে সবার আগে সংস্কার করা উচিত বলে আমি মনে করি। আজ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দুজন নেতাকে কে বা কারা মারপিট করে আহত করেছে, আমরা এর সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছি।’