প্রতিনিধি বরিশাল

শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা সেলিম মাহমুদের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার বরিশালে শ্রমিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। আজ শুক্রবার দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই কর্মসূচি হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একটি দায়িত্বশীল সংগঠন, যারা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি একটি ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল শিল্প সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করে। সেই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদকে গত বুধবার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তাঁর নিজ বাড়ি থেকে তুলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, বাসদের জেলা সদস্য বেল্লাল গাজী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সদস্য রেজওয়ান ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সেলিম মাহমুদ রূপগঞ্জ থানার ভুলতা এলাকায় অবস্থিত রবিনটেক্স গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকদের ইউনিয়ন গঠন ও ইউনিয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে নির্যাতিত শ্রমিকদের রক্ষায় আইনগত সহযোগিতার ব্যবস্থা করছিলেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ছিলেন, এটাই ছিল তাঁর অপরাধ।

শুক্রবার দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সেলিম মাহমুদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সমাবেশে শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, রবিনটেক্স কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের মতপ্রকাশের অধিকার দমন করে আসছে। চলমান মামলার পাশাপাশি শ্রমিকদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। ইউনিয়ন গঠনের অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করতে গ্রেপ্তার, মামলা ও পুলিশি হয়রানির মতো কৌশল নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শ্রমিক ইউনিয়ন ধ্বংসে মালিকপক্ষ ও প্রশাসনের যৌথ ভূমিকা শ্রমিক আন্দোলনের ওপর সরাসরি আঘাত। প্রশাসনের এমন ভূমিকা শিল্প সম্পর্কের ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সেলিম মাহমুদসহ গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।