প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আজ ডাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

আগামী মে মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম ঘোষণা ও জুনের মধ্যে ‘গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক’ ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। আজ বুধবার ডাকসু ভবনের সামনে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের যে কমিটমেন্ট, এর অন্যতম কমিটমেন্ট হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদের নির্বাচন দেওয়া।... জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়া অতীব জরুরি।’

বিন ইয়ামিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে দলীয় লেজুড়বৃত্তিক দাসত্বমূলক রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে ডাকসু নির্বাচন জরুরি। এটিকে ক্যালেন্ডার কর্মসূচি করারও দাবি জানান তিনি।

বিন ইয়ামিন আরও বলেন, ‘গতকাল ডাকসু নির্বাচনের টাইমলাইন ঘোষণা করলেও সেখানে নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। তাই আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) যদি অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করেন, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন নামতে বাধ্য হব। যদি কোনো অদৃশ্য শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর ভর করে ডাকসু বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে আমরা তাদের মুখোশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে খুলে দেব।’

ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সানাউল্লাহ হক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) অতিদ্রুত নির্বাচন কমিশন গঠন করুন এবং কবে ডাকসু হতে পারে—এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবেন।’

সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘কবে ডাকসু নির্বাচন হবে, তা কোনো ছাত্র সংগঠন ঠিক করে দিতে পারে না। এই সিদ্ধান্ত নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রশাসন। যদি কোনো ছাত্র সংগঠনের শক্তির ভয় করে প্রশাসন নির্বাচন দিতে ভয় করে, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তা হবে প্রতারণা।’ ডাকসু নির্বাচনের যে পরিবেশ বা আমেজ, তা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানান সানাউল্লাহ হক।