প্রতিনিধি পাবনা
![]() |
পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনায় আদালতে মামলার হাজিরা দিতে এসে এজলাসে দাঁড়িয়েই বিএনপির নেতা-কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার শুনানি চলা অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য ছয়জনকে আটক করেছে।
আহত পুলিশ সদস্যর নাম শাহ আলম (৫৫)। তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন জেলার উপজেলা শহরের ফতেমোহাম্মদপুর নিউ কলোনি এলাকার বাসিন্দা ও স্বেচ্ছাসেবক দল ঈশ্বরদী পৌরসভা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আওয়াল কবির (৩৮), সরোয়ার জাহান (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের কালাম খান (৪০), এম এস কলোনি এলাকার রুবেল হোসেন (৩৩), লোকশেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের জহুরুল ইসলাম (৩৫)। তাঁরা সবাই ২০২৩ সালের একটি নাশকতা মামলার আসামি এবং বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলা সদরে একটি রাজনৈতিক নাশকতার ঘটনায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়। মামলাটিতে গ্রেপ্তার আট ব্যক্তি হাজিরা দিতে এসেছিলেন। শুনানি চলা অবস্থায় আসামিরা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাঁদের ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এতে বিচারকের সামনেই এজলাসে থাকা আসামিরা ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তাঁরা ওই পুলিশ সদস্যকে মারপিট শুরু করেন। পরে সেখানে থাকা আইনজীবী ও অন্যরা গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে রক্ষা করেন। একই সঙ্গে আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে পুলিশ ছয়জনকে আটক করে।
জেলা পুলিশের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরই অভিযুক্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় নতুন করে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, আদালতের এজলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মতো নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, আদালত পরিদর্শক বিষয়টি দেখছেন। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলাটি হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।