নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা
![]() |
বৈশাখ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ সোমবার পয়লা বৈশাখের সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নেভি গলিতে | ছবি: এনসিপির সৌজন্যে |
রাষ্ট্র যদি গুণগত মৌলিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে না যায়, যদি একই রাষ্ট্রকাঠামো থেকে যায়, তাহলে জুলাই বিপ্লব ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘নববর্ষের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে নবায়ন করা, হালখাতার মাধ্যমে ধার-দেনা সবকিছু শোধ করা হয়। আমরা চাই যে এই রাষ্ট্রেরও নবায়ন হোক। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই নবায়নের সূচনা হয়েছে।’
আজ সোমবার পয়লা বৈশাখের সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নেভি গলিতে বৈশাখ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনসিপি। এই আয়োজনে ছিল বাউলগান। এ ছাড়া নববর্ষকে স্বাগত জানাতে চৈত্রসংক্রান্তির রাতে (রোববার) বাংলামোটর এলাকার সড়কে আলপনা এঁকেছে দলটি।
বৈশাখ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলাম বলেন, বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের এজেন্ডা সামনে নিয়ে এগোচ্ছে এনসিপি। জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো এখন আর সমভাবে ধারণ করছে না।
![]() |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৈশাখ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বাউল গান পরিবেশনা। আজ সোমবার পয়লা বৈশাখের সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নেভি গলিতে | ছবি: এনসিপির সৌজন্যে |
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কেবল কোনো ব্যক্তি বা দলের পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং রাষ্ট্রের আমূল কাঠামোর পরিবর্তন ও ইনসাফভিত্তিক একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল বলে উল্লেখ করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার ও সংস্কারের রোডম্যাপ চেয়েছি সরকারের কাছে। বিচার ও সংস্কারের মধ্য দিয়েই আমরা গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচনের দিকে এগোতে চাই। আমরা মনে করি, এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতিগত নবায়ন সম্ভব, সেই নবায়নের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা সম্ভব।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে অন্য সবকিছুর মতো পয়লা বৈশাখকেও একটি সাংস্কৃতিক দলীয় হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল। এর ফলে পয়লা বৈশাখ বা নববর্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশিষ্ট্যটি ছিল না। এবারই প্রথম হাসিনামুক্ত, ফ্যাসিস্টমুক্ত মুক্ত বাতাসে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশের বাঙালি ও বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি, ধর্ম, কৃষ্টি ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি—সবকিছুর সঙ্গেই বৈশাখ ও নববর্ষের ইতিহাস জড়িত।
রাষ্ট্রযন্ত্রের যেসব বিষয়ে সংস্কার প্রয়োজন, যেসব সংস্কার না হলে স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসার সুযোগ থাকে, সেসব বিষয়ে অবশ্যই অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের উদ্যোগ নেবে বলে নিজের প্রত্যাশার কথা জানান এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এবং বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজে বাংলা সনের গুরুত্ব অনুধাবন এবং বাংলা সনকেই দৈনন্দিন জীবনে কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।