প্রতিনিধি ঈশ্বরদী
![]() |
গোলাগুলি | প্রতীকী ছবি |
পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল নিয়ে উপজেলা যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপির এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি ঘটনায় পরে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার দাশুড়িয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত বিএনপি নেতার নাম মনিরুল ইসলাম (৫৫)। তিনি উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের আবুল কালাম প্রামানিকের ছেলে এবং উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিকু প্রামানিকের বড় ভাই ও দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামানিক দাশুড়িয়া মোড়ে অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় করেন। এতে বাধা দেন দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা–কাটাকাটি ও পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দুই দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।
বিষয়টি নিয়ে আজ সালিস বৈঠকের কথা ছিল। এর মধ্যেই বেলা দুইটার দিকে রকু প্রামানিক লোকজন নিয়ে অটোরিকশাস্ট্যান্ডে এসে হামলা চালান। এ সময় মনিরুল ইসলামকে সামনে পেয়ে মারধর করা হয়। এ সময় কয়েকটি গুলির ঘটনা ঘটে। এতে পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মনিরুল আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব বিপুল মোল্লা বলেন, ‘দুই পক্ষই অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা করছিল। এতে বাধা দেওয়াতেই মারধর ও গুলির ঘটনা ঘটে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
অভিযুক্ত যুবদল নেতা রিকু প্রামানিক ও বিপুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি। তাঁদের ব্যবহৃত মুঠোফোনের সংযোগ বন্ধ। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গত পরশু লেগুনা আর সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ঝামেলা মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানা নেই। ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অটোরিকশাস্ট্যান্ড দখল নিয়ে ঝামেলা কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে চালকদের দুই পক্ষে ঝামেলা ছিল। সেটার মীমাংসা করতে গিয়ে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
ঈশ্বরদীতে অটোরিকশা স্ট্যান্ড নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন |