প্রতিনিধি জয়পুরহাট
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার শালুককুড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধ ইগল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দুই ডানায় গুলিবিদ্ধ সেই ইগলটিকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসার পর জিম্মায় নেওয়া মোশারফ হোসেনের বাড়িতে আজ শনিবার সকালে পাখিটি মারা যায়। তিনি প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যোগাযোগ করে মৃত ইগলটিকে মাটিতে পুঁতে দিয়েছেন।
সাব্বির হোসেন ও গোলাম রব্বানী নামের দুই কিশোর শুক্রবার বিকেলে বদলগাছী শালুককুড়ি মাঠে ধানখেত দেখতে যায়। তারা একটি ধানখেতের ভেতরে অসুস্থ ইগলটি দেখতে পায়। সেখান থেকে প্রায় চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে অসুস্থ ইগলটিকে নিয়ে আসে।
প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসা শেষে দেখভাল করার জন্য ইগলটি আক্কেলপুর পৌর শহরের নিচা বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের জিম্মায় দেওয়া হয়। আজ শনিবার সকালে ইগলটি মারা যায়। মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমি রাতে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে ইগলটি জীবিত দেখেছি। সকাল আটটার পর ইগলটিকে মৃত অবস্থায় দেখেছি। প্রাণিসম্পদ দপ্তরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে মৃত ইগলটিকে মাটি চাপা দিয়েছি।’
অসুস্থ
ইগলকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করতে নিয়ে আসা দুই কিশোর সাব্বির হোসেন ও গোলাম
রব্বানীর বাড়ি বদলগাছী উপজেলার খাদাইল ব্রাহ্মণপুকুর গ্রামে। ইগলটি মারা
যাওয়ায় তারা খুব কষ্ট পেয়েছে বলে জানিয়েছে। তাদের আশা ছিল, ইগলটি বাঁচবে।