নিজস্ব প্রতিবেদক

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা গণপদযাত্রা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের গণপদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ। পদযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে চড়াও হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে চড়াও হয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বেলা পৌনে তিনটার দিকে গণপদযাত্রাটি শুরু হয়। ৯ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রা করেন পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা। পদযাত্রাটি শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের পাশে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়।

‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা গণপদযাত্রা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

এ সময় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে পদযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। তখন পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে। পুলিশের লাঠিপেটার মুখে মিছিলকারীরা শাহবাগের দিকে ফিরে যান। 

ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ-নামের একটি প্ল্যাটফর্মের সদস্যরা গণপদযাত্রা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বিকেল পৌনে চারটার দিকে সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অদ্রিতা রায় পুলিশের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের পূর্বঘোষিত গণপদযাত্রায় পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমরা এই ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। কিন্তু সে তো পদত্যাগ করল না, রমজান মাসে আমাদের ওপর হামলা করা হলো, মেয়েদের পোশাক ছেঁড়া হলো। আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা গণ–আন্দোলন গড়ে তুলব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে রমনা অঞ্চলের সহকারী কমিশনারসহ পুলিশের পাঁচজন সদস্যকে আহত করেছেন। পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে। পুলিশ কাউকে লাঠিপেটা করেনি বলে দাবি করেন তিনি।