প্রতিনিধি ঈশ্বরদী
সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন দাবিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদীতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে হিন্দু সম্প্রদায়।
বুধবার উপজেলার দাশুড়িয়া বাজারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।
এতে পথসভায় বক্তব্য দেন হামলায় আহত ব্যবসায়ী গৌরচন্দ্র সেনের ছেলে গৌতম সেন, পিয়াস সেন, দাশুড়িয়া কীর্তন গোষ্ঠীর সদস্য সুজন বৈরাগী, শ্মশান-মন্দির কমিটির সভাপতি রতন সাহাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন।
মানববন্ধন চলাকালে সম্প্রদায়ের শতাধিক নারীপুরুষসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী দাশুড়িয়া বাজার ও প্রধান সড়কে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পথসভায় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, বেশ কিছুদিন ধরে দাশুড়িয়াতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বাসাবাড়ি, দোকানপাঠ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কিছু চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীচক্র নিরবে চাঁদাবাজি করছেন। অনেক ব্যবসায়ী প্রাণভয়ে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের অব্যাহত হুমকিতে দাশুড়িয়া বাজারে হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকজনসহ অন্য ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে চাঁদা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতে দাশুড়িয়ায় কলেজপাড়া নিবাসী ব্যবসায়ী গৌড় চন্দ্র সেনের বাড়িতে সাত থেকে আটজনের একটি চক্র পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় ব্যবসায়ী গৌড় চন্দ্র সেনকে সামনে পেয়ে হামলাকারীরা তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা এলে তাদেরও আদর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিয়ে চলে যান চক্রটি। পরে আহত গৌড় সেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেন।
তাঁর ছেলে গৌতম চন্দ্র সেন জানান, ঘটনার পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঈশ্বরদী থানায় 'চাঁদাবাজি, হত্যার হুমকি প্রদানসহ লিখিত একটি অভিযোগ দেন। এতে সাত-আটজনকে আসামী করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে হিন্দু ব্যবসায়ীকে মারধরের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে পুরো বিষয়টি তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত জানাতে পারছি না।