প্রতিনিধি ঈশ্বরদী
![]() |
ঈশ্বরদী-দাশুড়িয়া সড়কে দুর্ঘটনাস্থলে মানুষের ভিড়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার বহরপুর এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদীতে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন রয়েছেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদী-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঢুলটি বহরপুরে মল্লিক এগ্রোর সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন – উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের দিয়ার বাঘইল গ্রামের মৃত বাবুর প্রামানিকের ছেলে রাব্বি প্রামানিক (৩৫), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (২৬) এবং তাঁদের ১৩ মাস বয়সী শিশু মোস্তাকিম। এছাড়া নিহত অন্য দুজন হলেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার রতিডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ রাতুল এবং সিএনজি চালক দোহা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ঈশ্বরদী থেকে যাত্রী নিয়ে দাশুড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল সিএনজিটি। এসময় ঈশ্বরদীমুখী একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তের মধ্যেই সিএনজি উল্টে যায় এবং এতে থাকা যাত্রীরা গুরুতর আহত হন।
![]() |
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দুর্ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রাজশাহী নেওয়ার পথে সিএনজি চালক দোহাও মারা যান। আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ইন্সপেক্টর আমিরুল ইসলাম জানান, 'তারা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে অংশ নেন।'
তিনি জানান, 'দুর্ঘটনার সময় বাস ও সিএনজি দুটোই দ্রুতগতিতে চলছিল, যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হতে পারে।'
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, 'খবর পেয়ে বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। তিনি জানান, নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।'
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঈশ্বরদী-পাবনা আঞ্চলিক মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে বেপরোয়া গতির কারণেই এই সড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।