নিজস্ব প্রতিবেদক
![]() |
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে গণপদযাত্রা আটকে দিলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি ও মারামারিতে আহত পুলিশ সদস্যরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন, উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেন।
সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুনের হাতের কেটে যাওয়া স্থানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছেন এক সহকর্মী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার নামে নারী-পুরুষসহ ৬০/৭০ জনের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে তাদের বাধা দেয়। এ সময় ওই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করে। ওই এলাকায় রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘একপর্যায়ে পদযাত্রাকারীরা পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় ডিএমপির রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।