নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর | ছবি: ওয়েবসাইট থেকে

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দেশের হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসাসেবা চালু রাখতে ১৬ দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জরুরি বিভাগে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি বিভাগ ও লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি (জরুরি অস্ত্রোপচারকক্ষ) ও ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে সমন্বয় করে ছুটি নির্ধারণ করতে হবে।

হাসপাতালের ইউনিটপ্রধানদের প্রতিদিনের কার্যক্রম তদারক করতে হবে উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে জরুরি ল্যাব ও এক্স-রে সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অন–কল সেবাও চালু রাখতে হবে।

এ ছাড়া ছুটির সময়ের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি–এজেন্ট, সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুত ও সরবরাহের ব্যবস্থা করা, স্টোরকিপারদের নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সার্বক্ষিণক চালু রাখা এবং হাসপাতালের বহির্বিভাগ একটানা তিন দিনের বেশি বন্ধ না রাখতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের অধীনে প্রসূতি বিভাগ খোলা রাখতে হবে।

উল্লেখ্য, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঈদ উপলক্ষে এর মধ্যে পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবার পাঁচ দিনের ঘোষিত ছুটির আগে-পরে আছে মহান স্বাধীনতা দিবস, শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। এর ফলে এবার কার্যত লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ঈদের আগে ও পরে ১১ দিনের মধ্যে মাত্র ২ দিন অফিস খোলা থাকবে।