প্রতিনিধি ঈশ্বরদী
![]() |
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই ইট পোড়ানো হচ্ছে। চিমনির সামনে রাখা আছে আরও কিছু কাটা গাছ। পাবনার ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নের বিলকেদার এলাকা থেকে সম্প্রতি তোলা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩টি অবৈধ ইটভাটাকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন খান। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অভিযানের সময় ইটভাটা মালিকেরা অভিযোগ করেন, উপজেলায় মোট ৫৩টি ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। তবে কেন কিছু স্থানে বেছে বেছে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা। ভাটা মালিকদের মধ্যে কয়েকজন তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কেন অন্য ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, তা বুঝতে পারছি না। আমরা লাখ লাখ টাকা বাৎসরিক মাশোয়াড়া দিয়েছিলাম, তারপরও কেন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হলো, তা খুবই দুঃখজনক।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভাটা মালিক বলেন, ‘এটা পরিষ্কার। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চাঁদা না দেওয়ার কারণে আমাদের ভাটায় জরিমানা করা হলো।’
আরেক ভাটা মালিক বলেন, ‘এমআরপি, বিআরবি, পিডিবি, মদিনা ব্রিজ, এসএস ইটভাটার মালিকেরা উপজেলা প্রশাসনের ম্যানেজ করতে ইট ভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুহুরুল মোল্লার মাধ্যমে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। তবুও উপজেলা প্রশাসন যদি এমনভাবে একতরফা অভিযান চালায়, তাহলে কীভাবে ব্যবসা চলবে? আমাদের ব্যাপারে যদি সত্যিই কোনও সমস্যা থাকত, তাহলে আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করত।’
এর আগে গত বুধবার, উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুর ও সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি এলাকার ৪টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুহুরুল মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মালিকরা তাঁকে কোনো টাকা দেননি। প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ থাকলে তাঁরা স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেন।’
এই বিষয়ে জানতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন খানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।