প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রামে ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা হলেন আবদুল কাদের ওরফে ইমন (২৩) ও আসাদুজ্জামান ওরফে রাফি (২৬)।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার দুজন জাতীয় নাগরিক কমিটি, ইপিজেড থানা শাখার সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নগরের বন্দরটিলা সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশে দেন লোকজন। আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর মো. আজিম নামের এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ইপিজেড থানায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. আজিম ও মো. রিপন আলী সিইপিজেড এলাকায় ভ্যানগাড়িতে করে জিনিসপত্র বিক্রি করেন। ইমন ও রাফি আগে থেকেই নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ফুটপাতে ব্যবসা করতে হলে তাঁদের চাঁদা দিতে হবে জানান। ভয়ভীতি দেখালে তাঁরা বেশ কয়েকবার চাঁদার টাকা দেন। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ইমন চাঁদার টাকা নেওয়ার জন্য সিইপিজেড মোড়ে যান। তখন টাকা না থাকায় তাঁরা দিতে পারেননি।
এজাহারে আরও বলা হয়, ওই দিন দিবাগত রাত ১২টার পর ব্যবসায়ী আজিমের মুঠোফোনে রাফি কল করে টাকা না দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে এবং টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। এরপর আজিম ও রিপনকে বন্দরটিলা সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে যেতে বলেন রাফি। সেখানে পৌঁছালে রাফি ও ইমন ব্যবসায়ী রিপনের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দিতে থাকেন। ওই সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে অজ্ঞাত তিন থেকে চারজন ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। স্থানীয় লোকজন ইমন ও রাফিকে আটক করে পুলিশে দেন।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিন সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এখন নির্বাহী কমিটি রয়েছে। সমন্বয়ক কোনো পদ আর নেই।
এ ছাড়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিনের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র ও মুখ্য সংগঠক ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির অন্যান্য অর্গানোগ্রাম, নির্বাহী, সেল ও সার্চ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইপিজেড এলাকায় হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুজনকে ধরে পুলিশে দেন লোকজন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক ব্যবসায়ীর করা মামলায় দুজনকে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।