প্রতিনিধি পঞ্চগড়
সারজিস আলমের সঙ্গে কথা বলছেন মতিয়ার রহমান | ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমের সঙ্গে মতিয়ার রহমান নামে এক বিএনপি নেতার বাগবিতণ্ডা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সারজিস আলমের বৈঠককে কেন্দ্র করে এই বাগবিতণ্ডা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আটোয়ারী উপজেলার কর্মকর্তাদের নিয়ে ইউএনওর সম্মেলন কক্ষে বৈঠক করেন সারজিস আলম। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এলে উপজেলা চত্বরে উপজেলা বিএনপির সদস্য মতিউর রহমান বৈঠকের কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উভয় দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখেন। এ দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে ভাইরাল হয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুরে উপজেলা বিএনপি নেতা মতিউর রহমান কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের কার্ড বিতরণের জন্য উপজেলা চত্বরে যান। এ সময় তিনি বিভিন্ন অফিসে কর্মকর্তাদের অনুপস্থিত দেখতে পান এবং খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এনসিপি নেতা সারজিস আলম উপজেলা পরিষদ হলরুমে কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করছেন। মিটিং শেষ হলে তিনি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের বৈঠকের বিষয়ে কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান। এ সময় এনসিপি নেতা সারজিস আলম তাকে বলেন, আমরা উত্তরাঞ্চলের মানুষ কোনও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলে আমাদের পেছন থেকে টেনে ধরা হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। রাতে এই তর্কের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কোন বিষয় নিয়ে বিএনপি নেতার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছে জানতে চাইলে সারজিস আলম বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার লক্ষ্যে আমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখানে আমি কর্মকর্তাদের সমস্যার কথাও শুনেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে আসার সময় একজন ব্যক্তি যাকে আমি চিনি না, তিনি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করছিলেন। আমি তাকে নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। বিষয়টি তিনি সহ্য করতে পারেননি। তার কথা শুনে মনে হলো, তারা নিজেরাও কোনও কাজ করবেন না, কাউকে করতেও দেবেন না।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, তিনি একটি পার্টির মুখ্য সংগঠক। তিনি সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন না। আমি তাৎক্ষণিক আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা বোদা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেছি। অন্য কিছু নয়।
এ বিষয়ে জানতে আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার নজিরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।