প্রতিনিধি নয়াদিল্লি
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি | ছবি: এএনআই |
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ব্যাংককে থাকাকালে অন্যান্য সদস্যদেশের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
নরেন্দ্র মোদির থাইল্যান্ড (৩ ও ৪ এপ্রিল) ও শ্রীলঙ্কা সফর (৪ থেকে ৬ এপ্রিল) উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত বিশেষ ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিব এ কথা বলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ব্যাংককে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হচ্ছে কি না। জবাবে বিক্রম মিশ্রি ওই উত্তর দেন।
এর আগে আজ সকালে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে শুধু থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
ব্রিফিংয়ে মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে প্রবল ভূমিকম্প সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ পরিস্থিতিতে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে চলা হচ্ছে।
বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতি বাংলাদেশ। এ সম্মেলনেই বাংলাদেশ সপ্তদেশীয় এই সংগঠনের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পর সাম্প্রতিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আলোয় এ সংগঠনের ভবিষ্যৎ ভারত কোন চোখে দেখছে, তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) জয়দীপ মজুমদার বলেন, বিমসটেক এজেন্ডা এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের কোনো সমস্যা নেই।কারণ, সংগঠনের সাত সদস্যই এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, বিমসটেকের সাফল্য নিয়ে ভারত যথেষ্ট আশাবাদী। প্রত্যেক সদস্যই এর সাফল্যের জন্য ব্যগ্র।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা এ সময়ে চীনেও গেছেন। তিস্তা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, এ নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করার নেই। তিস্তা প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো নতুন প্রকল্প কি না, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।’