প্রতিনিধি ঈশ্বরদী

বাবুল সরদার ও তাঁর নাতনি মুনতাহা | ছবি: সংগৃহীত

পাবনার ঈশ্বরদীতে নাতনিকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন নানা। পরে ট্রেনের ইঞ্জিনের ধাক্কায় নানা ও নাতনি দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন উপজেলার উত্তর বাঘইল গ্রামের বাবুল সরদার (৫৫) এবং চর-মিরকামারী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মুনতাহা (৫)। ঈদের ছুটিতে মায়ের সঙ্গে মুনতাহা নানা বাবুল সরদারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিকেলে নাতনি মুনতাহা ট্রেন দেখার আবদার করে। ইফতারের আগে নাতনিকে নিয়ে নানা বাবুল সরদার বাড়ির পাশের রেললাইনে ট্রেন দেখাতে যান। নানা-নাতনি রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় ঈশ্বরদী থেকে পাকশী অভিমুখে একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ট্রায়ালের (পরীক্ষামূলক চলাচল) সময় নাতনি দৌড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে চলে যায়। বাবুল সরদার নাতনিকে বাঁচাতে গেলে ট্রেনের ইঞ্জিনের চাকায় কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মুনতাহাও গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মুনতাহাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার (জিআরপি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ট্রেন দেখতে গিয়ে নানা-নাতনি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন বলে জেনেছি। খবর পেয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’