নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

মো. তারেক রহমান | ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ওয়াসায় কোনো নিয়ম না মেনে ১৫০ জনকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে আমজনতার দল। বেসরকারি টেলিভিশন 'দেশ টিভি'র প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সোমবার দলটি এক সংবাদ সম্মেলন করে। তারা এই নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

এর আগে ওই টেলিভিশন চ্যানেল জানায়, কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বা পরীক্ষা ছাড়াই এক রাতের মধ্যে ঢাকা ওয়াসায় ১৫০ জনকে  বিভিন্ন এলাকায় চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই নিয়োগে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সুপারিশের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, তৌহিদ ও নাজমুলের নামও তালিকায় আছে।

তবে ঢাকা ওয়াসা এক প্রতিবাদলিপিতে জানিয়েছে, অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের দায়িত্ব তাদের নয়। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনবল নিয়োগের জন্য খোলা দরপত্র পদ্ধতিতে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরে সেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল সরবরাহ করে।

ঢাকা ওয়াসার বক্তব্য অনুযায়ী, তারা অস্থায়ী ভিত্তিতে লোক নিয়ে কাজের কোনো নিয়োগপত্র দেয় না এবং নিয়োগের তালিকার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক,উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের ব্যক্তিগত সচিব- সহকারী ব্যক্তিগত সচিব বা ছাত্র সমন্বয়কদের কোনো সুপারিশের ভিত্তিতে নিয়োগ হয়নি বলেও দাবি করা হয়।

এদিকে আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুদকের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান তিনি।

অন্যদিকে, এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো পরীক্ষা হয় না এবং এটি স্বল্প মেয়াদী চাকরি। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনা নিয়ে অপ্রচার চালানো হচ্ছে এবং এটি একটি পরিকল্পিত চরিত্রহননের চেষ্টা।