প্রতিনিধি সাভার
![]() |
আটক | প্রতীকী ছবি |
ঢাকার অদূরে সাভারে তুচ্ছ ঘটনায় এক নারী পুলিশ সদস্যকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. সোহেল ওরফে বাবুকে আটক করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ। রোববার দুপুরে সাভারের থানা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত নারী কনস্টেবলের নাম ইতি খানম। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় কর্মরত। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তিনি সাভারে থাকেন।
ভুক্তভোগী পুলিশ কনস্টেবল ইতি খানম বলেন, সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) মেয়েকে থেরাপি দেওয়ার সুবিধার্থে বর্তমানে তিনি সাভার থানা এলাকায় ভাইয়ের বাসায় থেকে কালিয়াকৈর থানায় দায়িত্ব পালন করেন। দুপুরে বাসা থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে রিকশায় করে রওনা দেন। থানা স্ট্যান্ডের কাছাকাছি রিকশাটি পৌঁছালে একটি ব্যক্তিগত গাড়ি পেছন থেকে রিকশা অতিক্রম করে উল্টো পথে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তিনি ওই গাড়ির চালককে উল্টো পথে না যাওয়ার অনুরোধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক গাড়িতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটান।
ইতি খানম বলেন, পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর তাঁকে অশ্লীল ভাষায়
গালিগালাজ করা হয়। ভিডিও করতে গেলে হাতে আঘাত করে মুঠোফোন ফেলে দেন
গাড়িচালক। পরে কয়েকজন দোকানদার এগিয়ে এসে তাঁকে থামান। পরে তিনি চলে যান।
আহত অবস্থায় ইতি খানমকে পরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা
দেওয়া হয়।
এদিকে পরে সাভার মডেল থানা–পুলিশ বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে
জানতে পারেন গাড়িটি সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহর।
ঘটনার সময় গাড়ির চালক হিসেবে ছিলেন মো. সোহেল ওরফে বাবু।
এ বিষয়ে সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ বলেন, ‘আমার গাড়ির চালক বলেই যে অন্যায় করে পার পাবে বিষয়টি এমন নয়। সে অন্যায় করেছে। সন্ধ্যার পর ঘটনাটি আমি শুনেছি। এরপর নিজেই তাঁকে থানায় নিয়ে যাই। ওসি সাহেবকে বলেছি, অবশ্যই আইন অনুসারে যেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা বলেন, নারী পুলিশ কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় সাভার পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লার গাড়ির চালক মো. সোহেল বাবুকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।