নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রতিবেদনের ওপর আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বাংলাদেশে ছাত্র, শ্রমিক ও সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়ন ও সহিংসতা চালানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে প্রতিশোধমূলক হামলা, বিচারিক হয়রানি, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, সাংবাদিকদের দমন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

তবে, এই প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দলটি জানিয়েছে, প্রতিবেদনের তথ্য পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। তারা আরও অভিযোগ করেছে, জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ওএইচসিএইচআর যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং প্রতিবেদনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপেক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে, ১৫ আগস্টের পর দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয়নি, যা দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা বোঝার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

দলটি আরও বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা সত্য নয়। বরং সরকার সহিংসতার পরপরই একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল, যা পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশে বিলুপ্ত হয়।

আওয়ামী লীগ একটি নতুন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে, যাতে সব পক্ষের অপরাধ তদন্ত করা হয় এবং প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যায়। দলটি বলেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য নিরপেক্ষ তদন্ত অপরিহার্য, যাতে সত্য উদঘাটিত হয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

এছাড়া, প্রতিবেদনে যে সুপারিশগুলো করা হয়েছে, যেমন বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা—এসব বাস্তবায়ন সম্ভব নয় যদি দেশের নেতৃত্বের ক্ষেত্রে পক্ষপাতমূলক ও অনির্বাচিত প্রশাসন ক্ষমতায় থাকে।