প্রতিনিধি বরিশাল
হামলায় আহত নয়ন নামের একজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বরিশাল নগরের কাউনিয়া হাউজিং এলাকায় জমি বিক্রিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আরও একজন আহত হয়েছেন। রোববার রাত আটটার দিকে কাউনিয়া শের–ই–বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সুরুজ গাজী (৩৫) কাউনিয়া হাউজিং এলাকার কাঞ্চন গাজীর ছেলে। তিনি বরিশাল সিটি করপোরেশেনর ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আহত নয়ন গাজী কাউনিয়া হাউজিং এলাকার তসলিম গাজীর ছেলে।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত হত্যাকাণ্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাউজিং এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. শাহীন হাওলাদার ওরফে সোনা শাহীনের সঙ্গে যুবদল নেতা সুরুজ গাজীর জমি বিক্রিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে রোববার সন্ধ্যার পর তাঁদের তর্ক ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে তাঁর ছেলে ইমনসহ কয়েকজন এসে যুবদল নেতা সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন বলে অভিযোগ।
এ সময় সুরুজকে রক্ষায় নয়ন হাওলাদার নামের অপর এক যুবক এগিয়ে গেলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন। সেখানে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত নয়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত শাহিনের বাড়িতে আগুন দেন। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন বলে কাউনিয়া থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কুপিয়েছে। এতে একজন নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা জড়িত, তাঁদের সুনির্দিষ্ট নাম পেলে গ্রেপ্তার করা হবে।