প্রতিনিধি গাজীপুর
গাজীপুরে বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ। রোববার বিকেলে নগরের তেলিপাড়া এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গাজীপুর মহানগরের তেলিপাড়া এলাকায় ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি কারখানার শ্রমিকেরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগে পড়েন এ পথে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তেলিপাড়া এলাকার ‘লুমেন টেক্সটাইল লিমিটেড’ কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনী, থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিল্প পুলিশ ও কয়েকজন শ্রমিক জানান, তেলিপাড়ার লুমেন টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের প্রতি মাসেই বেতন দিতে গড়িমসি করে কর্তৃপক্ষ। এখন রোজার মাস চলায় শ্রমিকেরা একটু আগে বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আজ তাঁদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর কারখানা থেকে জানানো হয়, আজ বেতন দেওয়া হবে না।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বেতন না পেয়ে শ্রমিকেরা বেলা তিনটার দিকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে মহাসড়কের উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন মহসড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। খবর পেয়ে শিল্প ও থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনী এসে তাঁদের দাবি পূরণে সহায়তার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। এরপর মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কারখানার শ্রমিক কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কারখানায় তিন শ থেকে চার শ শ্রমিক কাজ করেন। রাত ১১–১২টা পর্যন্ত ডিউটি করালেও কোনো নাইট বিল দেয় না। ইনক্রিমেন্ট নেই। মার্চ মাসের ১৫-১৬ দিন হয়ে গেলেও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিচ্ছে না। রমজান মাস, তাই আগে বেতন চেয়েছি; তবু কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেয় না। বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য আমরা মহাসড়ক অবরোধ করেছি।’
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, তেলিপাড়া এলাকায় একটি কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে তাঁরা মহাসড়ক থেকে সরে যান। এখন মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।