নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কিছু ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত কিছু ব্যক্তি ও তাঁদের স্বজনেরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করছেন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। তাঁরা শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, সরকার ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’—এই তিন ক্যাটাগরি করে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিচ্ছে। ‘সি’ ক‍্যাটাগরিতে ‘এ’ ও ‘বি’-এর মতো সুবিধা রাখা হয়নি। এটি খুবই বৈষম্যমূলক।

লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, আহত সব ব্যক্তিকে ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরিতে চিকিৎসা দিতে হবে। ক‍্যাটাগরি হবে দুটি। আহত ও গুরুতর আহত।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের অন‍্য দুটি দাবি হলো, প্রান্তিক এলাকার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবিধার্থে টোল ফ্রি হটলাইন সেবা চালু করতে হবে এবং আহত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় আইন করতে হবে।

আহত প্রত‍্যেককে সরকারি ভাতার আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের অনেকে।

রংপুর থেকে আসা আহত ব্যক্তিদের একজন রনি মিয়া। তিনি রংপুর কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছিলাম বৈষম্য নিরসনের জন্য। অথচ আমাদের আহতদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। রংপুরে ২৬৫ জন আহত আছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন এ ক্যাটাগরিতে আছেন। বি ক্যাটাগরিতে মাত্র ১৭ জন। বাকিরা সি ক্যাটাগরিতে। আমরা বলতে চাই, এখানে ক্যাটাগরি হবে দুটি। একটি হলো, যারা গুরুতর আহত, যারা একেবারে পঙ্গু হয়ে গেছে। অন্য ক্যাটাগরিতে থাকবেন বাকিরা। আর কোনো ক্যাটাগরি থাকবে না।’

আবুল কালাম আজাদ নামের আহত একজন বলেন, ‘এই সরকার আমাদের রক্তের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় বসেছে। তাহলে কেন আমাদের ওপর এত বৈষম্য করা হচ্ছে? আমরা এখানে এসেছি অধিকার আদায় করতে। এই বাংলার মানুষ আর কোনো বৈষম্য দেখতে চায় না।’