প্রতিনিধি বগুড়া

গ্রেপ্তার | প্রতীকী ছবি

উচ্চ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরার পথে আবারও গ্রেপ্তার হয়েছেন বগুড়া আওয়ামী লীগের এক নেত্রী। আজ শনিবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ঘিরে করা একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওই নেত্রীর নাম মাহফুজা খানম (৪৫)। তিনি বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য। এ ছাড়া তিনি বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ানের স্ত্রী।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু সুফিয়ান ও তাঁর স্ত্রী মাহফুজা খানমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিএমপি-ডিবি)। তাঁদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যাচেষ্টার ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা ছিল। গ্রেপ্তারের পর স্বামী-স্ত্রী দুজনেই কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান মাহফুজা খানম। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকেলে জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে সাতমাথা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। বগুড়া সদর থানায় দায়ের হওয়া শিমুল হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত আসামি হিসেবে মাহফুজা খানমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৭ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় শিমুল হত্যা মামলা দায়ের হয়। মামলাটি করেন শিমুলের স্ত্রী শিমু বেগম। এ মামলায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া শহরের প্রধান সড়কে ঝাউতলা এলাকায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশে এবং বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান, বগুড়া-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসানসহ চারজনের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা পিস্তল, কাটারাইফেলসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালান। হামলার সময় শিমুল ছাত্র-জনতাকে রক্ষায় এগিয়ে যান। এ সময় তাঁকে লক্ষ্য করে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি টি জামান, বগুড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আরিফুর রহমান, আবদুল মতিন সরকারসহ অন্য আসামিরা। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিমুল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত হলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন শিমুলকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।