সব রাজনৈতিক দলকে ঐকমত্যের জায়গায় আনতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠকে প্রস্তাব দিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, এ সময়ে জাতীয় কর্তব্য হচ্ছে, সংস্কার এগিয়ে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা। সেদিক থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বেরিয়ে জোনায়েদ সাকি সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন। রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিএনপি, জামায়াতসহ দেশের ২৭টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে উপদেষ্টামণ্ডলী, কমিশনগুলোর প্রধানদেরসহ রাজনৈতিক দলগুলো এবং শিক্ষার্থীদের সংগঠনের প্রতিনিধিদের ডেকেছেন। প্রশ্ন এসেছে, কীভাবে এ সংস্কারপ্রক্রিয়া, নির্বাচনপ্রক্রিয়া এগোবে। আমাদের দিক থেকে তিনটি প্রশ্নকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছি। প্রথমত, ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য তৈরি। যেসব বিষয়ে সবাই একমত, তা নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য তৈরি করা দরকার এবং সেটাই জাতীয় সনদ আকারে আমাদের সামনে আসতে হবে।

‘দ্বিতীয় হচ্ছে, কী পদ্ধতিতে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। আমরা বলেছি, সংবিধান সংস্কার করতে হবে। আর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা টেকসই ব্যবস্থা হিসেবে যাতে এ সংস্কার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সরকার ও সব পক্ষ যাতে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়।

‘এ ছাড়া নির্বাচনকে এই সংস্কারপ্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা। সংস্কার যেমন নির্বাচনের জন্য দরকার, তেমনি সংস্কার সম্পন্ন করতেও নির্বাচন লাগবে। কাজেই এটাকে বিরোধ হিসেবে না দেখে আগামী নির্বাচনকে সংস্কার সম্পন্ন করার একটা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা। পরবর্তী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সংস্কার সভা বা সংসদ গঠিত হবে, সেখানে সংস্কারগুলো বিশেষভাবে সংবিধান সংস্কার যাতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়, তার একটা বাধ্যবাধকতা তৈরি করা এবং সে বিষয়ে অঙ্গীকার ও আইনে বাধ্যবাধকতা তৈরি করা।’