প্রতিনিধি রাজশাহী

ভাড়া বাড়ি থেকে হেলেনা আক্তারের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজশাহী নগরে ভাড়া বাড়ি থেকে এক গৃহবধূর আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই নারীর নাম হেলেনা আক্তার (৩৫)। তিনি নগরের চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা রেললাইনের পাশের বস্তির এক কক্ষের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর স্বামীর নাম আলমগীর হোসেন ওরফে রয়েল। তাঁকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন হেলেনা। আলমগীরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ।

নিহত নারীর মা ও ভাই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি। চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, আজ সকাল ৯টার দিকে বস্তির এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া লাশ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু পোড়েনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, হেলেনার আগের স্বামীর ঘরে একটা ছেলে আছে। সে মাদ্রাসায় আবাসিক থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তাঁরা থাকতেন, তাঁর পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। এ রকম কোনো চিৎকার তিনি শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তাঁরা দাবি করছেন যে হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নিহত হেলেনার স্বজনেরা যদি হত্যা মামলা করতে চান, তাহলে মামলা নেওয়া হবে। তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার বলা যাবে।’