প্রতিনিধি গাইবান্ধা
ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন মণ্ডলের নিহতের খবর পেয়ে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দুর্বৃত্তদের হামলায় স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা আল মামুন মণ্ডল (৩২) নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আল মামুনের লাশ নিয়ে ধাপেরহাট বাজার এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। রাত আটটার দিকে সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নিহত আল মামুন মণ্ডল উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের মান্নান মণ্ডলের ছেলে। তিনি ধাপেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম।
নিহত মামুনের বাবা মান্নান মণ্ডল বলেন, ‘কয়েক বছর থেকে দলের সঙ্গে মামুনের সক্রিয়তা নেই। দীর্ঘদিন থেকে মামুন ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’
নিহত আল মামুন মণ্ডল | ছবি: সংগৃহীত |
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল পাঁচটার দিকে আল মামুন মণ্ডল ধাপেরহাট বন্দরের জামদানি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় হঠাৎ সাত থেকে আটজন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক মামুনের ওপর হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুর্বৃত্তরা তাঁকে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে মামুন মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।
পরে মামুনের লাশ নিয়ে ধাপেরহাট বাজার এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্বজন ও স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইব্রাহিম হোসেন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আটক করতে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজ উদ্দিন খন্দকার।