নিজস্ব প্রতিবেদক
![]() |
ডিমের বাজারে অস্থিরতা নতুন নয় | ফাইল ছবি |
পবিত্র রমজানে ডিমের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, সরকার ডিমের খুচরা মূল্য ১১ টাকা ৮৭ পয়সা নির্ধারণ করেছে, তবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১০ টাকায়। রমজানে দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এ লোকসান সামাল দেওয়া তৃণমূল খামারিদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাঁদের সহায়তায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বিল্ডিং আ রেজিলিয়েন্ট পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ: ইভল্যুশন, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন বিএবি সভাপতি মাহাবুবুর রহমান। বৃহস্পতিবার ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভ স্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) প্রতিনিধিরা জানান, ঢাকার একটি হোটেলে ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোলট্রি সেমিনার। আর ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো শুরু হবে। এই মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
অতিবৃষ্টি, খরা, রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ এবং বাজারদরের অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারণে ২০২৪ সাল ছিল পোলট্রি–শিল্পের জন্য একটি দুর্যোগপূর্ণ বছর। অসংখ্য খামারি নিঃস্ব হয়েছেন। কয়েকটি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানও তাদের ব্যবসা সংকুচিত করতে বাধ্য হয়েছে। এমন তথ্য দিয়ে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, স্বল্প সময়ে মানসম্মত প্রোটিন উৎপাদন করতে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। খামার ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়নের পাশাপাশি গবেষণা বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকারকে এ খাতে বিশেষ নজর দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মসিউর রহমান বলেন, আসন্ন রমজান মাসে ডিম-মুরগির দাম বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবারও রোজায় ঢাকায় খামারের দামে ডিম-মুরগি বিক্রি করবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রামাণিক। তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের পর পোলট্রি খাদ্যের উৎপাদন বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল। গত বছর উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। আশা করা যায়, চলতি বছরে আরও বাড়বে। অর্থাৎ ডিম-মুরগির উৎপাদনও বাড়বে।’
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে খামারি ও উদ্যোক্তাদের ঝরে পড়া ঠেকাতে হবে।
এফএলজেএফ সভাপতি মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক লোটন একরাম, আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেন এবং এফএলজেএফের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান।