নওরিন আক্তার
![]() |
সারা দিনের উৎসবে আরাম দেবে শাড়ি। মডেল: আনিলা তাবাসসুম হৃদি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বসন্ত মানেই একরাশ স্নিগ্ধতা, বসন্ত মানেই রঙের ছড়াছড়ি। রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে ফাগুন মাস। সাজ সাজ রব আজ চারদিকেই। অনেকে তো আগেভাগেই বসন্ত বরণে বেরিয়ে পড়েছেন! অনেকেই আজ হলুদ-কমলা শাড়ি আর ফুলে সেজেছেন। তবে আনুষ্ঠানিক বসন্তবরণ তো এখনও বাকিই।
আগামীকাল যেহেতু শুক্রবার, ফলে কাজের চাপ কম। তাই একটু সকাল সকালই সাজগোজ করে বেরিয়ে পড়তে পারেন বসন্তবরণ উৎসবে। তবে দিনের সাজে খুব বেশি মেকআপ না করলেই ভালো করবেন। কারণ গরম পড়তে শুরু করেছে এরই মধ্যে। সারাদিনের জন্য তাই জমকালো মেকআপ মোটেই স্বস্তিদায়ক হবে না। বরং সাজপোশাক রাখতে চেষ্টা করুন ছিমছাম। এতে ঘুরে স্বস্তি পাবেন। বাঙ্গালিয়ানা ফুটিয়ে তুলতে শাড়ি পরতে পারেন এক প্যাঁচে। পা রাঙাতে পারেন আলতায়। গাঢ় করে কাজল দিতে ভুলবেন না। সঙ্গে থাকুক হালকা শেডের কোনও লিপস্টিক। সঙ্গে হাত ভর্তি কাচের চুড়ি আর টিপ তো থাকবেই। চাইলে রঙিন সুতায় জড়ানো চুড়িতেও নিয়ে আসতে পারেন বসন্তের আমেজ। হাতে কিংবা চুলে পরে নিন গাঁদার মালা। ব্যস! বসন্তবরণে আর কী লাগে?
শাড়ির সঙ্গে পরিপাটি খোঁপা চমৎকার দেখায়। চুল খুব বেশি বড় নাহলে ছেড়েও রাখতে পারেন ক্যাজুয়ালি। সালোয়ার কামিজ বা কুর্তিতে বসন্তবরণ করতে চাইলে চুলে এলোমেলো লুক নিয়ে আসলেই ভালো করবেন। খানিকটা ঢিলা করে বিনুনি করে ফুল গুঁজে নিতে পারেন। একটু উঁচু করে ফুলিয়ে নিন সামনের অংশের চুল। এরপর এক সাইডে এলোমেলো স্টাইলের ফ্রেঞ্চ বেণি করে বেরিয়ে পরুন বসন্তবরণে। কুর্তির সঙ্গে বেশ ভালো দেখাবে।
![]() |
শাড়িতে ফুটে উঠুক বসন্তের আমেজ । মডেল: আনিলা তাবাসসুম হৃদি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চুলের সাজে কৃত্রিম ফুলও কিন্তু বেশ যুতসই হবে। আজকাল কৃত্রিম গাঁজরা ফুলের বেশ চল রয়েছে। সেটা দিয়েও খোঁপা সাজাতে পারেন।
যেহেতু ভালোবাসা দিবসও একই দিনে, রাতের কোনও আয়োজনে একটু জমকালো সাজে বেরিয়ে পড়তে পারেন। ভালোবাসা দিবসের বিশেষ ডিনারে পরতে পারেন গাউন বা সিল্কের শাড়ি। এ সময় গাঢ় রঙগুলো বেশ ভালো লাগবে। চোখ সাজাতে পারেন স্মোকি সাজে। গ্লিটারের ঝকঝকে সাজে চোখ ও ঠোঁট সাজালেও বেশ লাগবে। তবে সাজ আর পোশাকের পুরোটাই আসলে নিজের ইচ্ছের উপর। যেভাবে ভালো লাগে, সাজুন সেভাবেই।
জেনে নিন
সারাদিনের জন্য বের হলে সঙ্গে পানির বোতল ও ছাতা রাখতে ভুলবেন না।
দিনে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
স্বাচ্ছন্দ্য না হলে হিল জুতা পরবেন না। সারাদিনের ঘোরাঘুরি মাটি হতে পারে।