প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

গণমিছিল বের করার আগে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

শতাধিক পণ্যের ওপর আরোপিত বর্ধিত ভ্যাট –শুল্ক প্রত্যাহার ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে করা সব চুক্তি বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীতে গণমিছিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এই গণমিছিল করে বামপন্থী কয়েকটি সংগঠন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শাহবাগ থেকে মিছিল বের হয়ে কাঁটাবন মোড়, হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার মোড় ও পান্থপথ সিগন্যাল হয়ে ফার্মগেটে গিয়ে শেষ হয়। বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রমিক, নারী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনেকেই মিছিলে অংশ নেন।

এ সময় ‘আইএমএফের ঋণের বোঝা, জনগণ নেবে না’, ‘হাসিনার ঋণের বোঝা, জনগণ নেবে না’, ‘ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত, প্রত্যাহার করতে হবে’, ‘নিত্যপণ্যের উচ্চ দাম, বাংলা হবে ভিয়েতনাম’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন গণমিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।

মিছিলের আগে শাহবাগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সেখানে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ঢাকা মহানগরের সভাপতি ইকবাল কবির বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ২ জানুয়ারি সরকার শতাধিক পণ্যের ওপর বর্ধিত ভ্যাট আরোপ করেছে। এই ভ্যাটের কারণ হলো আইএমএফের কিস্তি পরিশোধ। যে ঋণ করেছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপট হলো সকল প্রকার বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। শুধু দুই–একটা পণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করলে হবে না। এভাবে করে যদি মনে করেন জনগণকে বিভ্রান্ত করবেন, এটা অভ্যুত্থান–পরবর্তী বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।’

এ সময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ-মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদসহ একাধিক বামপন্থী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়। পরে ফার্মগেটেও আরেকটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। সেখানে বক্তব্য দেন রাফিকুজ্জামান ফরিদ, শ্রমিক নেতা ক্বাফী রতন, সত্যজিৎ বিশ্বাস। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা অনীক রায়।