প্রতিনিধি রংপুর
রংপুরে পথসভায় বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর নগরের শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
দেশে আর নতুন নতুন আয়নাঘর তৈরি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াত ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ পরিবারগুলোকে কথা দিয়েছি, আপনাদের সন্তানেরা যে কারণে জীবন দিয়েছে, সেই লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় রংপুর নগরের শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর শাখা সংগঠন রংপুর মহানগর যুব বিভাগ এই পথসভার আয়োজন করে। শুক্রবার কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জনসভায় যোগ দিতে শফিকুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রংপুরে পৌঁছান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নামে করা শহীদ আবু সাঈদ চত্বরে পথসভায় আবু সাঈদের আত্মত্যাগ নিয়ে কথা বলেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছে, সেই মানুষ হচ্ছে আপনাদের গর্বের সন্তান, দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ বীর আবু সাঈদ।’ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের যে কয়েকটি বাঁক ছিল এর মধ্যে সব থেকে বড় বাঁক রচিত হয়েছিল আবু সাঈদের শাহাদাতের মধ্য দিয়ে উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আবু সাঈদ জাতিকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করার জন্য চিৎকার করে বলেছিল, বুকের ভেতর দারুণ ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর।’
জামায়াতের আমির আবু সাঈদ এবং আবু সাঈদের পথ ধরে জীবন বাজি রেখে যাঁরা ফ্যাসিবাদকে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি ঘর থেকে, তাঁরা সেদিন শহীদ হওয়ার নিয়ত করে ঘর থেকে বের হয়ে এসেছিল। যে দুই হাজার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে, আমরা সবার কাছে ঋণী।’
খুনের ব্যাপারে ‘সরি’ বললে হয় না উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটা খুনের বিচার হতে হবে। এটা ইনসাফের দাবি। আবু সাঈদেরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিয়েছিল, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমরা ন্যায়বিচার চাই, বৈষম্য চাই না। ন্যায়বিচার দাবি হলো প্রতিটি খুনের বিচার হতে হবে।’
রংপুর মহানগরের তাজহাট থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির মওলানা রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সরকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, রংপুর মহানগরের আমির এ টি এম আজম খান, সেক্রেটারি আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।