প্রতিনিধি রাউজান
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির কমিটি ঘোষণা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এবং চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়কের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে জড়ানো বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
চট্টগ্রাম রাঙামাটি সড়কেও সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুটি পক্ষ। বিকেলে রাউজান উপজেলা সদরে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে | সংগৃহীত |
উভয় পক্ষের আহত ব্যক্তিদের মধ্যে মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ নাহিদুল ইসলাম, রিদোয়ানুল ইসলাম, নাইম উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ ওয়াসিম, ইফতেখার খান, মুহাম্মদ আজম ও নুর নবীর নাম জানা গেছে। আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির দুই পক্ষের নেতারা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও উভয় পক্ষের দলীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মজিদের সঙ্গে দেখা করতে যান গোলাম আকবর খোন্দকার পক্ষের ঘোষিত উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির ২৫ থেকে ৩০ নেতা। এ সময় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের নিচে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী অবস্থান নিয়ে দলের কমিটি বাতিল চেয়ে স্লোগান দেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে দুই পক্ষের তর্কাতর্কি হয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ান। শেষে দুই পক্ষই মিছিল বের করে উপজেলা পরিষদ ছেড়ে সড়ক ধরে মুন্সিরঘাটার দিকে যান। মুন্সিরঘাটায় রাঙামাটি সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে আবার সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের লোকজন সরে পড়েন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যান।
হামলায় আহত উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি দাবি করা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, তাঁরা নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা তাঁদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে হামলা করেন।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী জেলা যুবদলের সহসভাপতি মুহাম্মদ সাবের সুলতান বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন তাঁরা। গোলাম আকবর খোন্দকারের লোকজন তাঁদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের পাঁচ থেকে সাতজন নেতা–কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে গেছেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শফিকুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মামলা হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।