প্রতিনিধি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
প্রায় এক যুগ পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে সংগঠনটির ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতা-কর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার তদন্তের দৃশ্যমান অগ্রগতি না হওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে দলীয় ব্যানারে প্রায় এক যুগ পর প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, ‘গত ১২ জানুয়ারি কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের কলিজার স্পন্দন পবিত্র কোরআনে আগুন দিয়েছে। আমরা তাদের বলে দিতে চাই, তোমরা ঘুঘু দেখেছ, ঘুঘুর ফাঁদ দেখনি। আগুনের স্ফুলিঙ্গে তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছুদিন আগে ইরানে কোরআন অবমাননার কারণে এক খ্রিষ্টান পোপকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যারা এই কোরআন পোড়ানোর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের জোহা চত্বরে প্রকাশ্যে ফাঁসি দিতে হবে। এ জন্য যদি ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মাঠে শহীদ হতে হয়, আমরা সেটার জন্যও প্রস্তুত।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে আমাদের হৃদয়ে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে, সেটার আঘাত মৃত্যু দিয়েও দেওয়া যায় না। যারা চুপি চুপি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, তারা আমাদের সামনে প্রকাশ্যে এসে কোরআন পোড়াক। তাহলে শুধু ছাত্রশিবির নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবে। পবিত্র কোরআন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে আমরা আমাদের কোরআনের বিপ্লব ঘটাব।’
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির শাখা সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল। এ সময় আরও বক্তব্য দেন বায়তুলমাল সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নওসাজ্জামান, এইচআরডি সম্পাদক সাহিদ ইমরান। সমাবেশে হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ
ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির প্রকাশ্যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা
করতে পারেনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের
কার্যক্রম চলমান ছিল। এ ছাড়া পবিত্র ঈদুল আজহায় আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের
মধ্যে গোপনে মাংস বিতরণ এবং ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে দেয়াললিখন কার্যক্রম
পরিচালনা করেছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেপ্টেম্বরে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম
প্রকাশ্যে আসে। এরপর ৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি গঠন করা
হয়।