নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে এবি পার্টি নিজেদের মূল্যায়ন জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে | ছবি: এবি পার্টির সৌজন্যে

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি বলছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত কি না, তা ভাবতে হবে। কারণ, উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করতে দীর্ঘ জটিলতায় পড়তে হয়।

দলটি জানিয়েছে, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা না করে এক কক্ষবিশিষ্ট আইন সভায় নারীদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের পাশাপাশি আরও ৫০টি সংরক্ষিত আসন রেখে তা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন পেশাজীবীর জন্য উন্মুক্ত রাখার প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।

নির্বাচনব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে এবি পার্টির মূল্যায়ন জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ পুনর্গঠন বা রাষ্ট্র সংস্কারের যে জনদাবি ছিল, তাকে সামনে রেখে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। অতীতে সরকার যত কমিশন গঠন করেছিল, তার প্রতিবেদন কখনো জনগণের সামনে আসেনি। এই প্রথম সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণের সামনে উপস্থাপিত হওয়ায় সংস্কার কমিশন ও সরকারকে ধন্যবাদ।

সংবিধানের মূলনীতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে যুক্ত করায় কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আব্দুল হক বলেন, ‘এটি আমাদের সুপারিশ ছিল।’ তিনি বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দেখলেই মনে আসত জনগণ মানেই প্রজা, যার ফলে শাসকেরা রাজা বনে যেতেন। তাই আমরা এটা সংশোধন করতে জনগণতন্ত্র করার মত দিয়েছিলাম। এটা সংস্কার কমিশন গ্রহণ করেছে।’

এ সময় পুলিশ, র‍্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, পোশাক কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বাহিনীগুলোর আচরণ, সার্ভিস ও দেশের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু) বলেন, ‘কেউ কেউ প্রশ্ন করেন এই সরকারের ম্যান্ডেট কী? আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই গণ–অভ্যুত্থান নিজেই একটি স্বতন্ত্র ম্যান্ডেট। জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার গঠন করেছে, যার ফলে এটি জনগণেরই সরকার।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।