নিজস্ব প্রতিবেদক
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ। ঢাকা, ২১ জানুয়ারি | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরে গণ–আকাঙ্ক্ষা ভঙ্গের চিত্র দেখা যাচ্ছে। এখনো জুলাই গণহত্যার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। মুখে ঐক্যের কথা বললেও, ঐক্যের নামে বিভাজনের রাজনীতি চলছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক ছাত্র সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠনের দাবি জানিয়েছে ছাত্র ফ্রন্ট।
সমাবেশে ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করার দাবি জানিয়ে ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও একই ধারার শিক্ষার পরিপূরক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে।
ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আরও বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি এবং মিছিল-সমাবেশ বন্ধের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে ডাকসুসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু করা দরকার।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘আমরা দেখছি, মুখে ঐক্যের কথা বললেও, ঐক্যের নামে চলছে বিভাজনের রাজনীতি। এই বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে জনজীবনের সংকট ভুলিয়ে রাখা যাবে না। এ কথা অন্তর্বর্তী সরকারের বোঝা উচিত।’
বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। তারা নতুন করে ভ্যাট আরোপ করছে, মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের পকেট কাটার আয়োজন চলছে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা দেখেছি ১৬ জানুয়ারিতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশি হামলা হলো। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না, এর বিচার চাই।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মণের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ইভান তাহসিব, ঢাকা কলেজ শাখার সভাপতি নাহিয়ান রেহমান, ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি শাহিনূর সুমি।