প্রতিনিধি ফরিদপুর
ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই পক্ষ ঢাল,সড়কি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পূর্ব শক্রতার জের ধরে আজ শনিবার এই সংঘর্ষ হয় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
পূর্বশক্রতার জেরে ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ পুলিশসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কুমার নদের সেতু এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে দুটি দোকান ও একটি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আটজনকে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীও রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা গ্রাম এবং নগরকান্দা পৌরসভার মিরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আজ সকালে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মীরাকান্দা ও সলিতা গ্রামের মাঝামাঝি কুমার নদের ওপর নির্মিত সেতু এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সেতুই উত্তর পাশে ফুলসুতি ইউনিয়নের সলিথা ও দক্ষিণ পাড়ে নগরকান্দা পৌরসভার মীরাকান্দা গ্রাম। খবর পেয়ে নগরকান্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় দুই পক্ষের ছোড়া ইটের আঘাতে নগরকান্দা থানার ওসি মো. সফর আলীসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নানা বিষয় নিয়ে সলিথা ও মীরাকান্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। গতকাল শুক্রবার রাতে সলিথা মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই ওয়াজ শুনতে মীরাকান্দা এলাকার লোকজন যান। এ সময় পূর্বশত্রুতার জেরে মীরাকান্দার এক তরুণকে মারধর করেন সলিথার কয়েক তরুণ। এ নিয়ে রাতেই ওই দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে শনিবার সকাল ৯টা থেকে সেতু এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।