সুবীর কুমার দাশ | ফাইল ছবি |
৩৫তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ ২০২৩ সালের ৫ জুন ঈশ্বরদীতে ইউএনও হিসেবে যোগদান করেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সুবীর কুমার দাশের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদীতে কর্মরত থাকার সময় একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন, ইটভাটা থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা গ্রহণ, রূপপুর প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত জমির চেক বিতরণে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও গুজব হিসেবে শোনা যাচ্ছে।
বদলির খবরে ঈশ্বরদীজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। একাংশের মতে, এই বদলি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অংশ হলেও অভিযোগের প্রেক্ষাপটে এটি অপরাধের দায়মুক্তি দেওয়ার মতো।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'আমাদের প্রত্যাশা ছিল প্রশাসন মানুষের জন্য কাজ করবে। কিন্তু এখানে প্রশাসনিক পদকে ব্যবহার করে নিজের লাভের পথে হাঁটার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে বদলি দিয়ে তার দায়মুক্তি দেওয়া হলে অন্যদেরও উৎসাহিত করা হবে।
অন্যদিকে, এক সরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বদলির সিদ্ধান্ত মূলত নিয়মিত প্রক্রিয়া। তবে অভিযোগের সত্যতা থাকলে সেগুলো তদন্ত হওয়া উচিত '
সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহল এই বদলিকে একটি “প্রশাসনিক নাটক” বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, শুধুমাত্র বদলির মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে না, বরং অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।
তবে এসব বিষয়ে ইউএনও সুবীর কুমার দাশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।