প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মাইকে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও পরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন দুজন। এ বিষয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন বিএনপির এক নেতা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিজয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে মাড়িয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের মাঠে গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগের দিন একই মাঠে মাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলামের পক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন না। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে রফিকুল ইসলাম ও আসলাম হোসেনের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাঁরা একই গ্রামের বাসিন্দা।
গতকাল রফিকুল ইসলামের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাইকে ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ গানটি বাজানো হয়। এ কারণে বিএনপির আরেক পক্ষের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। হট্টগোল তৈরি হয়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় লোকজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ মাইক জব্দ করে এবং এর অপারেটরকে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার জেরে গতকাল রাতে দুই পক্ষের উত্তেজনা দেখা দেয়। আসলাম হোসাইন অভিযোগ করেন, বিষয়টি পুলিশকে জানানোর জন্য তাঁর লোকজনকে দায়ী করে রাতে তাঁর বাড়িতে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালিয়েছেন। হামলায় তাঁর দুই ভাই আতাবুর রহমান ও মনিরুজ্জামান আহত হয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। রফিকুল ইসলাম বিভেদ তৈরির জন্য আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিয়ে বিএনপির দলীয় ব্যানারে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিয়ে তিনি হামলা করেছেন।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর গান বাজানোর বিষয়টি তাঁর জানা নেই। এ রকম গান বাজানো হয়নি বলে জেনেছেন। যদি বাজেও সেটাও প্রতিপক্ষের ইন্ধনে হতে পারে। হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মজিদ জানান, পুলিশ সন্ধ্যায় গিয়ে মাইকসহ অপারেটরকে থানায় নিয়ে এসেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি (অপারেটর) জানিয়েছেন ভুল করে মাইকে বঙ্গবন্ধুর গান বাজিয়েছেন। মারধরের ঘটনায় বিএনপি নেতা আসলাম হোসেন থানায় এসে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন।