প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সহযোগিরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রাম পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সনাতন সম্প্রদায়ের মানুষ। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সামনে কয়েক হাজার মানুষ প্রিজন ভ্যান আটকে বিক্ষোভ করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন কিছু আইনজীবীও।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাশকে সোমবার ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর পর রাত থেকেই ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়।
জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলে তার আইনজীবীরা কারাগারে ধর্মীয় রীতি অনুসরণের অনুমতি চান। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশে ক্ষুব্ধ হয়ে চিন্ময়ের সমর্থকরা স্লোগান দিতে থাকেন এবং প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সমর্থকরা “জয় শ্রী রাম”, “চেয়ে ছিলাম অধিকার, পেয়ে গেলাম কারাগার”, “এক দুই তিন চার, সব শালারা বাটপার” প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন। শঙ্খ ধ্বনিও শোনা যায়। এ সময় প্রিজন ভ্যান থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করছি। রাষ্ট্র বা সরকারের বিরুদ্ধে নই। ৮ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। তবে আমরা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতাকে প্রাধান্য দেব।'
বেলা দেড়টার দিকে বিজিবি ও পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ ও বিজিবি বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করলে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। প্রিজন ভ্যানের চারপাশে কয়েক হাজার মানুষ, যাদের মধ্যে সাধু, সন্ন্যাসী, নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। আদালত ভবনের নিচের সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ, বিজিবি এবং এপিবিএন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন থামানোর মতো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি।