নিজস্ব প্রতিবেদক

যাত্রাবাড়ীর ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে রোববার দুপুরে পুরান ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

পরম মমতায় একজন রোগীকে কোলে নিয়েছেন চিকিৎসক। এমনি একটি ভাস্কর্য ছিল পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গেটের সামনে। সেই ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুরের পর ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে তাদের উল্লাস করতেও দেখা গেছে।

ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর পর ১০ হাজার টাকা দিয়ে ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ এনে রোববার হাসপাতাল ও কলেজে হামলা চালায় ১৪ কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় হাসপাতালের সামনে থাকা ভাস্কর্যটি ভাঙচুর করে তারা। উল্লাস করে ছবিও তোলে। শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজেও হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। ভাস্কর্যের মুখে কালো কালি দিয়ে ক্রস চিহ্নও দিয়ে দেয়।

ভাস্কর্য ভেঙে হাতে নিয়ে উল্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে ছবি তোলা নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভাস্কর্যের মাথা হাতে নিয়ে ছবি তুলবো। স্টুডেন্টদের মারছে, এটার প্রতিশোধ নিয়েছি।

এদিন বেলা একটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের সামনে অবস্থান করে। এ সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পাঁচটার পর তারা চলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কবির হোসেন নামে এক নিরাপত্তা তত্ত্বাবধায়ক বলেন, '১৬ বছর ধরে চাকরি করি। এমন ঘটনা আগে দেখিনি। ভাস্কর্যটাও ভেঙে ফেলেছে। কী তাণ্ডবটাই না চালিয়েছে। হাসপাতাল ও কলেজের ভেতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে।'

ভেঙে ফেলা ভাস্কর্য | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন