প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
টাঙ্গাইলে দুটি হত্যা মামলাসহ তিনটি মামলায় তিন দফায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মাহমুদুল মোহসীন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে আব্দুর রাজ্জাককে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে মধুপুর থানায় করা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আব্দুর রাজ্জাককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট টাঙ্গাইল শহরে গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলা, ৩ আগস্ট মির্জাপুরে গুলিতে নিহত কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলা ও ৪ আগস্ট মধুপুর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় মো. আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনটি মামলায় মো. আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে মোট ২১ দিন পুলিশ আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করেছিল। সংশ্লিষ্ট আদালত ৫ দিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর ১১ নভেম্বর প্রথমে আব্দুর রাজ্জাককে টাঙ্গাইল সদর থানায় স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে পাঁচ দিন জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। ইমন হত্যা মামলায় ১৫ নভেম্বর মির্জাপুর থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সর্বশেষ ২০ নভেম্বর তাঁকে মধুপুর থানায় নিয়ে পাঁচ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ হত্যা, ইমন হত্যা ও মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন আব্দুর রাজ্জাক। এসব মামলায় আদালতে তিনি জবানবন্দি দেবেন না বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন।
আব্দুর রাজ্জাকের আইনজীবী টাঙ্গাইল জেলা অ্যাডভোকেট বারের সভাপতি এ কে এম শামীমুল আক্তার বলেন, আব্দুর রাজ্জাকের জামিনের জন্য তাঁরা আবেদন করেননি। আগামী শুনানির দিন জামিনের আবেদন করা হবে।