নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ধ্যায় এক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে তুলতে দেখা যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুরো এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

আন্দোলনকারীদের দাবি, ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের জিয়াফত প্রথম গরু জবেহ’ কর্মসূচি শেষ করে কাওরান বাজার ছাড়বেন। রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রথম আলো অফিসের সামনে মীর ফরহাদ নামে এক আন্দোলনকারী এ ঘোষণা দেন।

এদিকে রাত ৯টার দিকে কাওরান বাজারে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী। পরে তিনি প্রথম আলো কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করেন।

প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে পুলিশের পাহারা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে বিক্ষোভকারীদের কয়েক দফা ধাওয়া দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করে। রাত পৌনে ৮টার দিকে প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে থেকে তিন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়। তারা নিজেদের নাম ইউসুফ, শাহরিয়ার জামান ও মো. শফিকুল ইসলাম বলে পরিচয় দেন। এর মধ্যে শাহরিয়ার নিজেকে খেলাফত আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব বলে দাবি করেন।

ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

এর আগে আজ দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে ‘ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে গরু জবেহ’ কর্মসূচি শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তারা একটি গরু জবাই করে সেখানে রান্নার আয়োজন করেন।

বিক্ষোভকারীরা কারওয়ান বাজারের আম্বর শাহ (রঃ) মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জানা যায়, সন্ধ্যায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর জবাই করা গরুর মাংস ও রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম অন্যত্র নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। তখন তারা জানিয়েছিলেন, অন্যত্র রান্না করে খাবার এখানে আনা হবে।

প্রথম আলো কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভকারীরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

 আরও পড়ুন

প্রথম আলোকে ‘তওবা’ করানোর কর্মসূচিতে পুলিশের ধাওয়া

বিস্তারিত পড়ুন