নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী | ফাইল ছবি |
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত রিকশাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ রোববার দুপুরে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে একটি ভালো নির্দেশনা আসবে বলে আশা করছি। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব।’
এদিকে রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফের সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা। এতে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধসহ তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে তোপখানা ও পল্টন সড়ক, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, খিলগাঁও এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ নবীনগর ৬ নম্বর গেট এলাকায় গাবতলী-সদরঘাট সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন অটোরিকশাচালকেরা। ফলে গাবতলী ও সদরঘাট রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শত শত গাড়ি বেড়িবাঁধে আটকা পড়েছে। বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছে মানুষ। রিকশাচালকেরা কোনো গাড়ি চলতে দিচ্ছেন না। এমনকি মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ করে দিয়েছেন তারা।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন রিকশাচালকেরা। এতে পল্টন ও হাইকোর্ট মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করছেন রিকশাচালক ও শ্রমিকেরা। সেখানে রিকশাচালকদের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ বারবার মাইকিং করে তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য জানালেও রিকশাচালকেরা রাস্তা ছাড়ছেন না। প্রতিটি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইজরাইল হাওলাদার বলেছেন, প্রতিটি এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতা ও বেআইনি কার্যক্রম করতে দেবে না পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ দিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ও মালিকেরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করছেন। নিষিদ্ধ এই যান রাজধানীতে চলতে না দেওয়ার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁরা এই বিক্ষোভ করছেন। গত সপ্তাহে উচ্চ আদালত থেকে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে চালক ও মালিকেরা আরও ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা অন্তত পাড়া-মহল্লার সড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতে চান।