ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন কমলা: গার্ডিয়ান
-বুধবার, নভেম্বর ০৬, ২০২৪
যুক্তরাজ্যর গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ২০৯ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪১টি অঙ্গরাজ্যর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ২৭০।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের ভূমিকা ব্যাপক। এই রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম নর্থ ক্যারোলাইনার ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, এখন যে পরিস্থিতি তাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলেকটোরাল কলেজের ৩০১টি ভোট পেতে পারেন। আর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেতে পারেন ২৩৭টি ভোট। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিউইয়র্ক টাইমস লাইভে এ কথা জানিয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ায় জয়ে পেতে যাচ্ছেন কমলা হ্যারিস। ৪০ লাখ ভোটারের এ অঙ্গরাজ্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৫৪টি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাত দোদুল্যমান রাজ্যের দিকে সকলেরই দৃষ্টি থাকে। সেই রাজ্যগুলো হলো জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং উইসকনসিন। এখন যে পরিস্থিতি তাতে সব কটিতে এগিয়ে রয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, সাত রাজ্যের মধ্যে জর্জিয়া এবং নর্থ ক্যারোলাইনা ট্রাম্প প্রায় নিশ্চিত জেতার পথে। প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কমলা হ্যারিসকে এসব রাজ্যের মধ্যে পেনসিলভানিয়া, মিশিগান ও উইসকনসিনে জিততেই হবে। তবে এ তিন রাজ্যেও এখন ট্রাম্প এগিয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে যে সাতটি অঙ্গরাজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তার তিনটি অ্যারিজোনা, মিশিগান ও উইসকনসিনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবার ফলাফল ঘোষণার পালা। এসব অঙ্গরাজ্য মোট ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ৯৩টি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এই তিন দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের মধ্যে উইসকনসিনে ১০টি, মিশিগানে ১৫ এবং অ্যারিজোনায় ১১টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।
গতবার মিশিগানে জিতেছিলেন বর্তমান ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০১৬ সালে এই অঙ্গরাজ্যে জিতেছিলেন বর্তমান রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। অ্যারিজোনায় ২০২০ সালে জো বাইডেন জিতেছিলেন।
ক্মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ফলাফল আসতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত) রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১৭৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস ৯১ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের ম্যাজিক ফিগার ২৭০।
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনে বিশ্ব শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যাচ্ছে। বিবিসির বিজনেস রিপোর্টার জোয়াও দা সিলভা বলছেন, মার্কিন ডলার অন্য প্রধান মুদ্রার তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে। কারণ বিনিয়োগকারীরা মার্কিন নির্বাচনের ফলাফলের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। নির্বাচনের ফলাফল বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিশেষ করে এশিয়ায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটিক দলের কমলা হ্যারিস ইলিনয়ে জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প আরও দুটি অঙ্গরাজ্য। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ডেমোক্র্যাট দলের কমলা হ্যারিস ইলিনয় অঙ্গরাজ্য এবং রোড আইল্যান্ডে জয় পেয়েছেন। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প লুইজিয়ানা এবং মিসিসিপিতে জয় পেয়েছেন।
এএফপির খবরে আরও বলা হয়েছে, নিউইর্য়কে জয় পেয়েছেন কমলা হ্যারিস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নিজ অঙ্গরাজ্য ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২৪ বছর আগে এ অঙ্গরাজ্যের কারণে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন রিপাবলিকান দলের জর্জ ডব্লিউ বুশ। ডেমোক্র্যাট দলের আল গোরকে হারিয়েছিলেন তিনি। এখন পর্যন্ত, ৭৩ শতাংশ ভোট গণনার পরে দেখা যাচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২২ সালে, রিপাবলিকান প্রার্থীরা সহজে জয় পেয়েছিল। ২০১৮ সালে এখানে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য সত্ত্বেও রিপাবলিকানরা গভর্নর এবং সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিল। ফ্লোরিডা এখন একটি লাল রাজ্য।
ফ্লোরিডায় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা ৩০। এই অঙ্গরাজ্যে জয়ের মধ্য দিয়ে এখানকার ৩০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট ট্রাম্পের ঝুলিতে জমা হলো।
ফ্লোরিডা একসময় দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। কিন্তু ফ্লোরিডা এখন পুরোপুরি রিপাবলিকান বা লাল অঙ্গরাজ্য।
২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ফ্লোরিডায় জয়ী হয়েছিলেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাচনে ট্রাম্প পেয়েছেন প্রায় ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। আর তাঁর প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।
অন্যতম অঙ্গরাজ্য জর্জিয়ায় ভোট গণনা চলছে। ৪০ লাখে ভোটের ফল ইতিমধ্যে আসতে শুরু করেছে। শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন ৷ বিবিসির খবরে বলা হয়েছে ছোট গ্রামীণ কাউন্টি গুলোতে রিপাবলিকানরা বেশি ভোট পেতে পারে। আর বড় বড় শহুরেগুলোতে ডেমোক্র্যাটিকরা। ফল পেতে বেশ দেরি হতে পারে। এ খানে ৫০ শতাংশ ভোট গনণার পরে এখানে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প ৫৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং কমলা হ্যারিস ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এ অঙ্গরাজ্য ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ১৬টি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কেন্টাকি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া ও ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প জয় পাচ্ছেন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিবিসি।
অপরদিকে পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারমন্টে জয় পাবেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে ধনকুবের ইলন মাস্কের করা মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক দাবি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ বছর ২০০ কোটিবার দেখা হয়েছে। ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’ নামের অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা স্থানীয় সময় গত সোমবার বলেন, এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ দোদুল্যমান রাজ্যগুলোয় ভুয়া তথ্য ছড়াতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। এসব দোদুল্যমান রাজ্যই শেষ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস আর রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়-পরাজয় ঠিক করে দেবে।
নির্বাচনে ট্রাম্পের হয়ে প্রচারণা চালান মাস্ক। একই সঙ্গে ট্রাম্পের পক্ষে ভোট টানতে বিপুল পরিমাণ অর্থও ব্যয় করেছেন তিনি। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়িয়েছে। খবর রয়টার্সের।