প্রতিনিধি গোয়ালন্দ
নিহত তানভীর শেখ | ছবি: সংগৃহীত |
রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর এলাকায় নিজ বাসার কাছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক একজন নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিনোদপুর সর্বজনীন মন্দির ও স্থানীয় মুন্নাফের দোকানসংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম তানভীর শেখ (২০)। তিনি শহরের বিনোদপুর এলাকার বাবু শেখের ছেলে। তানভীর ডা. আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রাজবাড়ী পৌর ছাত্রলীগের অধীন ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ওই কমিটির মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
তানভীর শেখকে কারা কুপিয়ে হত্যা করেছেন, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার বা আটক হননি। তানভীরের লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। পুলিশের ধারণা, আগের কোনো বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ তানভীরকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে নিজ বাসা থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে বিনোদপুর সর্বজনীন মন্দির ও স্থানীয় মুন্নাফের দোকানসংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে তানভীর তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন তরুণ আকস্মিকভাবে এসে দুই বন্ধুর গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তানভীরের পেটে ও পিঠে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। তানভীর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হত্যাকারীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করেন। তানভীর ও তাঁর বন্ধুর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তানভীরকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রায় দুই থেকে তিন মাস আগে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তানভীরের বিরোধ তৈরি হয়। বিরোধের জেরে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় দুই থেকে তিনজন এবং দাদশী ইউনিয়নের ছয় থেকে সাতজন অংশ নিয়েছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় পরিবার থেকে থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, "খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মুকিত সরকারসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তানভীরের লাশ এখনো ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর নাগাদ লাশ আসতে পারে। পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"